জাহাঙ্গীর আলম চট্টগ্রাম
পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে এবং ভবন নির্মাণ ঠিকমত হচ্ছে কি-না তার প্রতি নজরদারি বাড়ানো দরকার বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ।
১০ অক্টোবর রবিবার বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে সিডিএ আয়োজিত ‘এক্সলারেটিং আরবান অ্যাকশন ফর কার্বন ফ্রি ওয়ার্ল্ড’ এর আলোকে ‘কার্বণ নিঃসরণ- আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষিত’ বিষয়ে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বব্যাপী কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ এর পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় সময় এসেছে পরিকল্পিত নগরায়ণ ও শিল্পায়নের। শিল্পোন্নত দেশ হিসেবে বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চায়না প্রভৃতি শিল্পোন্নত দেশ কর্তৃক অধিক কার্বণ নিঃসরণের ফলে আমাদের মতো দেশেও এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
সভাপতির বক্তব্যে সিডিএ সচিব মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা প্ল্যান অনুমোদন, সুপারভিশন ইত্যাদিতে আরো অধিক মনোযোগী হওয়ার বিষয়ে প্রকৌশলী ও পরিকল্পনাবিদদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সেমিনারের কি নোট পেপার উপস্থাপন করেন চউক এর প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম খান, বৈশ্বিক কার্বণ নিঃস্বরণ কিভাবে কমানো যায় তার উপর বিস্তারিত আলোচনা করেন সেমিনারের প্রধান আলোচক চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এনভায়রণমেন্টাল সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর চেয়ারম্যান ও পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. জি. এম. সাদিকুল ইসলাম। এছাড়াও গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ওম প্রকাশ নন্দী ও চউক বোর্ড সদস্য স্থপতি আশিক ইমরান বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে চউক বোর্ড সদস্য মো. জসিম উদ্দিন শাহ্, কে বি এম শাহজাহানসহ চউক এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারের প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. জি. এম. সাদিকুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে নির্মাণ সামগ্রীর নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে আগামির টেকসই নির্মাণ এবং কার্বণ নিঃস্বরণ কমানোর বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন। গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ভবিষ্যতে আদর্শ গ্রীণ বিল্ডিং নির্মাণে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জোড়ালো ভূমিকার বিষয়ে আলোকপাত করেন। বোর্ড সদস্য আশিক ইমরান তাঁর বক্তব্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে ভবিষ্যতে পরিবেশ বান্ধব ভবন নির্মাণে প্রয়োজনে ইমারত নির্মাণ বিধিমালার আধুনিকায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান।